সোহেল রানা
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা খারারা গ্রামে ব্র্যাকের কর্মী কর্তৃক মহিলা সদস্যকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিলেও নির্যাতনের পর ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ভুক্তভোগী ৩ সন্তানের জননীকে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামে অবস্থিত ব্র্যাকের মাঠকর্মী প্রনব কুমার সাহা (৩০) তার শাখার সদস্য তিন সন্তানের জননীকে মাঝে মধ্যে মোবাইলে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।
তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়নি ভুক্তভোগী নারী। এদিকে
কিস্তির টাকা পরিশোধ হলেও মনে মনে কুমতলব এ্যটে ঐ নারীর সাথে মোবাইলে কথা আছে বলে গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে তার বাড়িতে দেখা করতে যায়।
কথা বলার একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে তার হাত চেপে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে গৃহবধূর চাচা শশুর টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং লম্পট প্রনব পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে আটকিয়ে রাখে।
এসময় ব্র্যাকের কর্মকর্তারা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় বলে গোপন সুত্রে জানাগেছে।
এদিকে ভুক্তভোগীর স্বামী স্ত্রীকে মারধর করে সন্তানদের রেখে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, এমন লম্পট কর্মীকে প্রতিষ্ঠানে রাখা উচিত নয়। যাদের কাজ নারী ও টাকার। যাচাই-বাছাই কর্মী নিয়োগ প্রদান করা উচিত। আমরা চাই যার লাম্পট্যের কারনে একজন নারীর সংসার ভাঙতে বসেছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী নারী জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তথ্যনুসন্ধানে ভেড়ামারার ঐ অফিসে যাওয়া হলে আত্মগোপনে চলে যায় লম্পট প্রনব কুমার সাহা তবে ভেড়ামারার ওই শাখার ম্যানেজার গোলাম মুনতাকির রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং স্থানীয় মেম্বার খোকনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে এনেছিলাম।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জোনাল অফিসের কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্রদাশ বলেন, ঘটনার বিষয় তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।