
প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় বগুড়ায় এক স্কুলছাত্রীর পরিবারের দুই সদস্যকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকেও।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা জানান, সৈকত নামের কলেজ পড়য়া এক যুবক হরিগাড়ি গ্রামের মুদিদোকানী ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী বুলবুলের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু পারিবারিকভাবেই তা প্রত্যাখান করা হয়েছিল। যা মানতে পারেননি প্রেমিক সৈকত। এরপর বুধবার রাতে আবারও প্রেমিকার বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকার সুযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরুর এক পর্যায়ে সৈকত তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার দাদি লাইলি বেওয়া এবং ভাবি হাবিবা ইয়াসমিন বাধা দেয়।
এতে সে তাদের গলাকেটে হত্যা করে পলিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী তিনজনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক লাইলি বেওয়া ও হাবিবা ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত লাইলি ও হাবিবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান জানান, প্রেমঘটিত বিষয় থেকেই এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যেই সদর থানা পুলিশ ও ডিবির কয়েক ঘণ্টার অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত সৈকতকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, এর আগে বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার সঙ্গে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় গত ১৫ জুন পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল রিকশাচালক শাকিলকে। আর সর্বশেষ গত ৯ জুলাই ডাকাতের উদ্দেশে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া জিয়ানগরে সংগঠিত হয়েছিল আরেকটি
জোড়া হত্যাকাণ্ড। যার রেষ কাটতে না কাটতেই বুধবারে সংগঠিত এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে।