, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জ দেশের মানচিত্রে না থাকাই ভালো : আমির হামজা ভেড়ামারায় “এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সবুজ ভবিষ্যতের প্রত্যয়ে বৃক্ষরোপণ” বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, প্রেমিকার দাদী ও ভাবিকে গ-লা কে-টে হ-ত্যা। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও কটুক্তির প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ।  নিবন্ধন পেতে প্রাথমিক বাছাইয়ে ‘ফেল’ এনসিপি ভেড়ামারায়  সাংবাদিক মামুনের পূত্র মাহী’র এস.এস.সি পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য দোয়া ও আলোচনা সভা দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৩ জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি গত দশ মাসে দেশে ৩ হাজার ৫৫৪ খু-ন ভালুকায় মা-শিশুসহ ৩ জনকে গলা-কেটে হ-ত্যা সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোই ভরসা

সংগ্রামী জীবনের গল্প: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মহদীপুর গ্রামের মোঃ সাইদুর রহমান

  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • ৩০ পড়া হয়েছে

প্রতিদিনের খবর

 

কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের অন্তর্গত শান্তিপূর্ণ একটি গ্রাম মহদীপুর। এখানেই ১৯৮৩ সালের ৩১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন মোঃ সাইদুর রহমান। তিনি এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও জীবনের শুরু থেকেই লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সচেতন ও দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে।

 

 

 

সাইদুর রহমানের শৈশবকাল কেটেছে দারিদ্র্য, সংঘাত এবং সীমাহীন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে। সংসারে ছিল টানাপোড়েন, অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। কিন্তু কঠিন এই বাস্তবতাকে তিনি নিজের জীবনের অনুপ্রেরণায় রূপান্তর করেন। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে কখনও কৃষিকাজ, আবার কখনও দোকানদারি—যেখানেই সুযোগ মিলেছে, সেখানেই তিনি শ্রম দিয়েছেন। নিজের উপার্জিত অর্থে চালিয়েছেন নিজের পড়াশোনা।

 

 

 

সাইদুর রহমান তার প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে। এরপর ধারাবাহিকভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি উচ্চশিক্ষায়ও মনোনিবেশ করেন। শিক্ষাজীবনে কখনোই পিছিয়ে পড়েননি বরং প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে গেছেন ধীরে ধীরে।

সাইদুর রহমান শুধু একজন শিক্ষিত ব্যক্তি নন, বরং তিনি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ একজন মানুষও বটে। গ্রামীণ উন্নয়ন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সামাজিক সচেতনতায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে মাদক, সন্ত্রাস ও কুসংস্কার থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

 

 

 

তিনি সমাজসেবার পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গেও যুক্ত আছেন অনেকদিন ধরেই। তিনি বেশ কিছু নামিদামি পত্রপত্রিকায় লেখালেখির পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেছেন। কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক দেশের বাণীর বার্তা সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সঙ্গে তার প্রতিদিনের খবর নামে একটি অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুক পেজ রয়েছে। যেখানে সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের অসংগতিপূর্ণ বিষয় গুলো বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে তুলে ধরেন এবং প্রতিবাদ জানান। দৈনিক গণকন্ঠ উপজেলা প্রতিনিধি,  দৈনিক আলোকিত সকালের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে, দৈনিক আমার সংবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ও ডেইলি পোস্ট এর উপজেলা প্রতিনিধি এর পাশাপাশি ইলেকট্রিক মিডিয়া এশিয়ান টেলিভিশনে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন।

 

 

গ্রামীন মানুষের সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে স্থানীয় পর্যায়ে এক বিশ্বস্ত ও নির্ভীক কণ্ঠস্বর হিসেবে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

আজ মোঃ সাইদুর রহমান তার ব্যক্তিগত সাফল্যের পাশাপাশি গ্রামের উন্নয়নেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তিনি প্রমাণ করেছেন—পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস আর সাহস থাকলে দারিদ্র্য কোনো বাধা নয়, বরং জীবনের আসল প্রেরণা হতে পারে।

 

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জ দেশের মানচিত্রে না থাকাই ভালো : আমির হামজা

সংগ্রামী জীবনের গল্প: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মহদীপুর গ্রামের মোঃ সাইদুর রহমান

প্রকাশের সময় : ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

প্রতিদিনের খবর

 

কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের অন্তর্গত শান্তিপূর্ণ একটি গ্রাম মহদীপুর। এখানেই ১৯৮৩ সালের ৩১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন মোঃ সাইদুর রহমান। তিনি এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও জীবনের শুরু থেকেই লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সচেতন ও দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে।

 

 

 

সাইদুর রহমানের শৈশবকাল কেটেছে দারিদ্র্য, সংঘাত এবং সীমাহীন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে। সংসারে ছিল টানাপোড়েন, অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। কিন্তু কঠিন এই বাস্তবতাকে তিনি নিজের জীবনের অনুপ্রেরণায় রূপান্তর করেন। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে কখনও কৃষিকাজ, আবার কখনও দোকানদারি—যেখানেই সুযোগ মিলেছে, সেখানেই তিনি শ্রম দিয়েছেন। নিজের উপার্জিত অর্থে চালিয়েছেন নিজের পড়াশোনা।

 

 

 

সাইদুর রহমান তার প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে। এরপর ধারাবাহিকভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি উচ্চশিক্ষায়ও মনোনিবেশ করেন। শিক্ষাজীবনে কখনোই পিছিয়ে পড়েননি বরং প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে গেছেন ধীরে ধীরে।

সাইদুর রহমান শুধু একজন শিক্ষিত ব্যক্তি নন, বরং তিনি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ একজন মানুষও বটে। গ্রামীণ উন্নয়ন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সামাজিক সচেতনতায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে মাদক, সন্ত্রাস ও কুসংস্কার থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

 

 

 

তিনি সমাজসেবার পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গেও যুক্ত আছেন অনেকদিন ধরেই। তিনি বেশ কিছু নামিদামি পত্রপত্রিকায় লেখালেখির পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেছেন। কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক দেশের বাণীর বার্তা সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সঙ্গে তার প্রতিদিনের খবর নামে একটি অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুক পেজ রয়েছে। যেখানে সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের অসংগতিপূর্ণ বিষয় গুলো বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে তুলে ধরেন এবং প্রতিবাদ জানান। দৈনিক গণকন্ঠ উপজেলা প্রতিনিধি,  দৈনিক আলোকিত সকালের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে, দৈনিক আমার সংবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ও ডেইলি পোস্ট এর উপজেলা প্রতিনিধি এর পাশাপাশি ইলেকট্রিক মিডিয়া এশিয়ান টেলিভিশনে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন।

 

 

গ্রামীন মানুষের সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে স্থানীয় পর্যায়ে এক বিশ্বস্ত ও নির্ভীক কণ্ঠস্বর হিসেবে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

আজ মোঃ সাইদুর রহমান তার ব্যক্তিগত সাফল্যের পাশাপাশি গ্রামের উন্নয়নেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তিনি প্রমাণ করেছেন—পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস আর সাহস থাকলে দারিদ্র্য কোনো বাধা নয়, বরং জীবনের আসল প্রেরণা হতে পারে।