
প্রতিদিনের ডেক্স :
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার রুপসি আক্তারকে মারধরের অভিযোগ। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় ইবি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
থানায় অভিযোগ কপিতে জানিয়েছেন,
আমি রুপসি আক্তার (১২ নং হরিনারায়নপুর সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বর) (৩০), স্বামী-ইসরাফিস হোসেন, সাং-শান্তিডাঙ্গা, থানা-ইবি, জেলা-কুষ্টিয়া থানায় হাজির হয়ে বিবাদী ০১। মেহেদী হাসান। হরিনারায়নপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান) (৩২), পিতা-মৃত গেলাম মোস্তফা, সাং-পূর্ব আব্দালপুর, ০২। এনামুল হক ডাবলু (০৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার) (৫৫), পিতা-অজ্ঞাত, হরিনারায়নপুর, ০৩। আবু বক্কর (০৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর) (৪০) পিতা-অজ্ঞাত, সাং-পূর্ব আব্দালপুর, ৩। মিজানুর রহমান ওয়ার্ড মেম্বার, সর্ব থানা-ইবি, জেলা- কুষ্টিয়ার বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের কাছি যে, আমি হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের ০৭.০৮.০৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার।
উক্ত বিবাদীগণ হরিনারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার। ০১ নং বিবাদী মেহেদী হাসান হরিনারায়নপুর ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। ০১ নং বিবাদী মেহেদী হাসান এর হুকুমে ও ০২ নং বিবাদী এনামুল হক ডাবলু (ওয়ার্ড মেম্বর) তার এই দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সহযোগী হিসাবে কাজ করে আসছে। উক্ত বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করলে বিবাদীগণ আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়। ইং ০৮/০৭/২৫ তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় ভিডব্লুবি মিটিং এ যোগদান করার জন্য ইবি থানাধীন হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদে যায়। কিন্তু সঠিক সময়ে মিটিং না হওয়ায় বিবাদীদেরকে মিটিং করার কথা বললে বিবাদীগণ আমার অগচরে মিটিং হয়ে গিয়েছে বলে জানায়। আমি বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানালে বিবাদীগণ বাধ্য হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এসে একই তারিখ দুপুর অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় মিটিং করতে শুরু করে এবং বিবাদীগণ জোরপূর্বক তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য আমার উপর চাপ দিতে থাকে। আমি রাজি না হওয়ায় বিবাদীগণ রাগান্বিত হয়ে ০১ নং বিবাদীর হুকুম দিয়ে চলে যাওয়া মাত্রই ০২ নং বিবাদী এনামুল হক ও ০৩ নং বিবাদী আবু বক্কর হয় একত্রে আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি মেরে আমার মুখের নিচের ঠোঁটে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে।
আমি মাটিতে পড়ে গেলে ০২ নং বিবাদী এনামুল হক ও ০৩ নং বিবাদী আবু বক্করের পাশে থাকা চেয়ার তুলে আমাকে মারতে গেলে সাক্ষী ০১। লাইলি আক্তার (৩৩), স্বামী-মারফত আলী, সাং-বেড়বাড়াদি, ০২। ফরিদা আক্তার (৫৫), স্বামী-মৃত মাহাবুব বিশ্বাস, সাং-হরিনারায়ণপুর, উভয় থানা-ইবি, জেলা-কুষ্টিয়ান্বয় সহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে মহিলা মেম্বার ফরিদা আক্তার বলেন, রুপসি মেম্বারসহ আমাদের উপর সম্রাট চেয়ারম্যান দির্ঘদিন ধরে অবিচার করে আসছেন।
তারা কোন মিটিং বা রেজুলেশন না করেই সাদা কাগজে সহি করিয়ে নিতেন এবং সকল বরাদ্দ থেকে আমাকে ওয়ার্ডের মানুষকে বঞ্চিত করে আসছেন।
আজ তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রুপসি মেম্বার প্রতিবাদ করায় মারধরের স্বীকার হয়েছেন।
আমরা রুপসি মেম্বারের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও ডাবলু মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।