, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জ দেশের মানচিত্রে না থাকাই ভালো : আমির হামজা ভেড়ামারায় “এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সবুজ ভবিষ্যতের প্রত্যয়ে বৃক্ষরোপণ” বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, প্রেমিকার দাদী ও ভাবিকে গ-লা কে-টে হ-ত্যা। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও কটুক্তির প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ।  নিবন্ধন পেতে প্রাথমিক বাছাইয়ে ‘ফেল’ এনসিপি ভেড়ামারায়  সাংবাদিক মামুনের পূত্র মাহী’র এস.এস.সি পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য দোয়া ও আলোচনা সভা দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৩ জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি গত দশ মাসে দেশে ৩ হাজার ৫৫৪ খু-ন ভালুকায় মা-শিশুসহ ৩ জনকে গলা-কেটে হ-ত্যা সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোই ভরসা

খাওয়ার পর ব্যায়াম করা কি ভালো?

  • প্রকাশের সময় : ১০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ১৫ পড়া হয়েছে

লাইফ স্টাইল 

ধরন, সময়, খাবারের পরিমাণ ইত্যাদি নানান বিষয়ের ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু।

 

 

খাওয়ার পর ব্যায়াম করা উচিত কি না, এই প্রশ্ন অনেকের মনকে বিভ্রান্ত করে আসছে। কেউ বলেন খাওয়ার পর বিশ্রাম দরকার, আবার কেউ বলেন হালকা হাঁটাহাঁটি হজমে সহায়তা করে। তাহলে কোনটা ঠিক?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদ নিকোলেট পেস এবং ‘ফিটনেস ট্রেইনার’ বালটাজার ভিয়ানুয়েভা এই বিষয়ে রিয়েল সিম্পল ডটকম-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন।

তাদের মতে, “খাওয়ার পর ব্যায়াম করা যায়, তবে সেটার ধরন ও সময় নির্ভর করে খাবারের পরিমাণ ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের ওপর।”

 

তবে কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন?

বালটাজার ভিয়ানুয়েভা বলেন, “যদি রাতের খাবার দিনের সবচেয়ে বড় খাবার হয় বা খাওয়ার পরই ব্যায়ামের সময় থাকে, তাহলে হালকা ধরনের ব্যায়াম করতে সমস্যা নেই। তবে পেট অতিরিক্ত ভরা থাকলে বা অস্বস্তি বোধ করলে ব্যায়াম না করাই ভালো।”

হালকা হাঁটা, ধীরে সাইকেল চালানো বা হালকা স্ট্রেচিং এই ধরনের কার্যক্রম খাওয়ার পরের জন্য নিরাপদ। এগুলো হজমে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরকে অলস করে না।

 

কোন ধরনের ব্যায়াম এড়িয়ে চলবেন?

দুই বিশেষজ্ঞই একমত যে, ভারী খাবারের পর বেশি জোরে ব্যায়াম করলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম, যেমন- দৌড়, ভারোত্তোলন বা শক্তিশালী কার্ডিও—খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই করা উচিত নয়।

ভিয়ানুয়েভা বলেন, “যদি ভারোত্তোলন বা কষ্টসাধ্য কার্ডিও করতে চান, তাহলে অন্তত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে, এমন খাবার খেতে যাতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেইটের ভারসাম্য থাকে এবং অতিরিক্ত চর্বি না থাকে।”

অন্যদিকে, যাদের পাচনতন্ত্র সংবেদনশীল বা সহজেই অস্বস্তি হয়, তাদের জন্য নিকোলেট পেস সুপারিশ করেন, “স্ন্যাকস বা নাস্তা খাওয়ার ৩০ মিনিট এবং ভারী খাবারের অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা পর ব্যায়াম করাই ভালো।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, খাবারের আগে ছোট ছোট উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর।”

কখন ব্যায়াম করবেন— খাবারের আগে না পরে?

এই প্রশ্নে নিকোলেট পেস বলেন, “দুই সময়ই উপকারী অর্থাৎ খাবারের আগে এবং পরে। তবে সেটা নির্ভর করে শরীরের গঠন, রুটিন এবং স্বাস্থ্যের ইতিহাসের ওপর।”

গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের আগে সংক্ষিপ্ত অথচ তীব্র ব্যায়াম (যেমন ১৫-২০ মিনিটের শক্তিশালী ওয়ার্কআউট) পুরো দিনের রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে, যেখানে একটানা ৯০ মিনিটের ব্যায়ামের থেকেও এটি বেশি কার্যকর।

খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটির গুরুত্ব

অনেকেই রাতের খাবারের পর ছাদে বা রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটার চেষ্টা করেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুসারে, এই অভ্যাসটি অত্যন্ত ইতিবাচক।

যাদের ডায়াবেটিস বা হজমের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই ধরনের হালকা ব্যায়াম বিশেষ উপকারী।

 

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জ দেশের মানচিত্রে না থাকাই ভালো : আমির হামজা

খাওয়ার পর ব্যায়াম করা কি ভালো?

প্রকাশের সময় : ১০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

লাইফ স্টাইল 

ধরন, সময়, খাবারের পরিমাণ ইত্যাদি নানান বিষয়ের ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু।

 

 

খাওয়ার পর ব্যায়াম করা উচিত কি না, এই প্রশ্ন অনেকের মনকে বিভ্রান্ত করে আসছে। কেউ বলেন খাওয়ার পর বিশ্রাম দরকার, আবার কেউ বলেন হালকা হাঁটাহাঁটি হজমে সহায়তা করে। তাহলে কোনটা ঠিক?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদ নিকোলেট পেস এবং ‘ফিটনেস ট্রেইনার’ বালটাজার ভিয়ানুয়েভা এই বিষয়ে রিয়েল সিম্পল ডটকম-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন।

তাদের মতে, “খাওয়ার পর ব্যায়াম করা যায়, তবে সেটার ধরন ও সময় নির্ভর করে খাবারের পরিমাণ ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের ওপর।”

 

তবে কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন?

বালটাজার ভিয়ানুয়েভা বলেন, “যদি রাতের খাবার দিনের সবচেয়ে বড় খাবার হয় বা খাওয়ার পরই ব্যায়ামের সময় থাকে, তাহলে হালকা ধরনের ব্যায়াম করতে সমস্যা নেই। তবে পেট অতিরিক্ত ভরা থাকলে বা অস্বস্তি বোধ করলে ব্যায়াম না করাই ভালো।”

হালকা হাঁটা, ধীরে সাইকেল চালানো বা হালকা স্ট্রেচিং এই ধরনের কার্যক্রম খাওয়ার পরের জন্য নিরাপদ। এগুলো হজমে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরকে অলস করে না।

 

কোন ধরনের ব্যায়াম এড়িয়ে চলবেন?

দুই বিশেষজ্ঞই একমত যে, ভারী খাবারের পর বেশি জোরে ব্যায়াম করলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম, যেমন- দৌড়, ভারোত্তোলন বা শক্তিশালী কার্ডিও—খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই করা উচিত নয়।

ভিয়ানুয়েভা বলেন, “যদি ভারোত্তোলন বা কষ্টসাধ্য কার্ডিও করতে চান, তাহলে অন্তত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে, এমন খাবার খেতে যাতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেইটের ভারসাম্য থাকে এবং অতিরিক্ত চর্বি না থাকে।”

অন্যদিকে, যাদের পাচনতন্ত্র সংবেদনশীল বা সহজেই অস্বস্তি হয়, তাদের জন্য নিকোলেট পেস সুপারিশ করেন, “স্ন্যাকস বা নাস্তা খাওয়ার ৩০ মিনিট এবং ভারী খাবারের অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা পর ব্যায়াম করাই ভালো।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, খাবারের আগে ছোট ছোট উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর।”

কখন ব্যায়াম করবেন— খাবারের আগে না পরে?

এই প্রশ্নে নিকোলেট পেস বলেন, “দুই সময়ই উপকারী অর্থাৎ খাবারের আগে এবং পরে। তবে সেটা নির্ভর করে শরীরের গঠন, রুটিন এবং স্বাস্থ্যের ইতিহাসের ওপর।”

গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের আগে সংক্ষিপ্ত অথচ তীব্র ব্যায়াম (যেমন ১৫-২০ মিনিটের শক্তিশালী ওয়ার্কআউট) পুরো দিনের রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে, যেখানে একটানা ৯০ মিনিটের ব্যায়ামের থেকেও এটি বেশি কার্যকর।

খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটির গুরুত্ব

অনেকেই রাতের খাবারের পর ছাদে বা রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটার চেষ্টা করেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুসারে, এই অভ্যাসটি অত্যন্ত ইতিবাচক।

যাদের ডায়াবেটিস বা হজমের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই ধরনের হালকা ব্যায়াম বিশেষ উপকারী।