, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জ দেশের মানচিত্রে না থাকাই ভালো : আমির হামজা ভেড়ামারায় “এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সবুজ ভবিষ্যতের প্রত্যয়ে বৃক্ষরোপণ” বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, প্রেমিকার দাদী ও ভাবিকে গ-লা কে-টে হ-ত্যা। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও কটুক্তির প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ।  নিবন্ধন পেতে প্রাথমিক বাছাইয়ে ‘ফেল’ এনসিপি ভেড়ামারায়  সাংবাদিক মামুনের পূত্র মাহী’র এস.এস.সি পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য দোয়া ও আলোচনা সভা দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৩ জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি গত দশ মাসে দেশে ৩ হাজার ৫৫৪ খু-ন ভালুকায় মা-শিশুসহ ৩ জনকে গলা-কেটে হ-ত্যা সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোই ভরসা

সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোই ভরসা

  • প্রকাশের সময় : ০২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ১২ পড়া হয়েছে

 দোয়ারাবাজারঃ প্রতিনিধি [সুনামগঞ্জ]

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বড়কাটা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামের একমাত্র সংযোগ পথে নেই কোনো পাকা সেতু। বাধ্য হয়ে বাঁশের তৈরি একটি অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ।

 

 

 

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় তিন হাজার মানুষের বাস এই বড়কাটা গ্রামে। রয়েছে দুটি মসজিদ ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুধু বড়কাটা নয়, পার্শ্ববর্তী বৈঠাখাই, এরুয়াখাই, তিলুরাকান্দি ও চকবাজার গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে হাটবাজার, স্কুল, চিকিৎসা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকোটি আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত স্রোত ও পানির উচ্চতায় সাঁকো হেলে পড়ে। এমনকি প্রায় সময় সাঁকোর কাঠামোও ভেঙে যায়। ফলে শিক্ষার্থী, রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচলে চরম বিপাকে পড়তে হয়।

 

 

 

বড়কাটা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হেকিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এত বছর ধরে এখানে একটা পাকা সেতুর দাবি করে আসছি, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতিবার নির্বাচনের আগে আশ্বাস পাই, পরে আর কেউ ফিরেও তাকায় না।’

বড়কাটা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ বলেন, ‘এই অঞ্চলের জন্য এটি একটি চরম অবিচার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো পার হচ্ছেন সবাই। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি, মানববন্ধন করেছি; কিন্তু দেখার কেউ নেই।’

 

 

                                 

 

 

 

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আমি আশাবাদী খুব শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ জানান, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করব।’

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জ দেশের মানচিত্রে না থাকাই ভালো : আমির হামজা

সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোই ভরসা

প্রকাশের সময় : ০২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 দোয়ারাবাজারঃ প্রতিনিধি [সুনামগঞ্জ]

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বড়কাটা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামের একমাত্র সংযোগ পথে নেই কোনো পাকা সেতু। বাধ্য হয়ে বাঁশের তৈরি একটি অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ।

 

 

 

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় তিন হাজার মানুষের বাস এই বড়কাটা গ্রামে। রয়েছে দুটি মসজিদ ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুধু বড়কাটা নয়, পার্শ্ববর্তী বৈঠাখাই, এরুয়াখাই, তিলুরাকান্দি ও চকবাজার গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে হাটবাজার, স্কুল, চিকিৎসা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকোটি আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত স্রোত ও পানির উচ্চতায় সাঁকো হেলে পড়ে। এমনকি প্রায় সময় সাঁকোর কাঠামোও ভেঙে যায়। ফলে শিক্ষার্থী, রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচলে চরম বিপাকে পড়তে হয়।

 

 

 

বড়কাটা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হেকিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এত বছর ধরে এখানে একটা পাকা সেতুর দাবি করে আসছি, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতিবার নির্বাচনের আগে আশ্বাস পাই, পরে আর কেউ ফিরেও তাকায় না।’

বড়কাটা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ বলেন, ‘এই অঞ্চলের জন্য এটি একটি চরম অবিচার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো পার হচ্ছেন সবাই। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি, মানববন্ধন করেছি; কিন্তু দেখার কেউ নেই।’

 

 

                                 

 

 

 

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আমি আশাবাদী খুব শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ জানান, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করব।’